কণ্ঠশিল্পী নাসিরের কথা মনে আছে? দুই যুগ আগের তুমুল ব্যস্ত শিল্পী ছিলেন তিনি। ‘একাকি আছি পড়ে’, ‘নদী’, ‘আমার বুকে যত দুঃখ আছে’,‘যখন তোমার কেউ ছিল না’, ‘রাজকুমারী’, ‘ওরে ও কিশোরী’ এমন বহু জনপ্রিয় গান তিনি গেয়েছেন। এক ডজনের মতো সিনেমাতেও গেয়েছেন। ২৭ টি একক অ্যালবাম ও ৬০টির বেশি মিশ্র অ্যালবাম বাজারে এসেছিল নাসিরের।
কণ্ঠশিল্পী নাসিরের কথা মনে আছে? দুই যুগ আগের তুমুল ব্যস্ত শিল্পী ছিলেন তিনি। ‘একাকি আছি পড়ে’, ‘নদী’, ‘আমার বুকে যত দুঃখ আছে’,‘যখন তোমার কেউ ছিল না’, ‘রাজকুমারী’, ‘ওরে ও কিশোরী’ এমন বহু জনপ্রিয় গান তিনি গেয়েছেন। এক ডজনের মতো সিনেমাতেও গেয়েছেন। ২৭ টি একক অ্যালবাম ও ৬০টির বেশি মিশ্র অ্যালবাম বাজারে এসেছিল নাসিরের।
আগের মতো অ্যালবামের রীতি নেই বিধায় নাসির নিজেও ঝুঁকেছেন মিউজিক ভিডিওর দিকে। কয়েক বছরে তার গোটা দশেক মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। নতুন পাঁচটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। সর্বশেষ ‘পোষা পাখি’ শিরোনামের গান ভিডিও এসেছে ফেব্রুয়ারিতে। তবে, নাসিরের মূল ব্যস্ততা স্টেজ শো ও টেলিভিশন লাইভ নিয়ে।
চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে শিল্পী নাসির বলেন, আমার গান দিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে একটি মিউজিক প্রোডাকশন হাউজ। কিন্তু একটা গানের মিউজিক ভিডিও করতে গিয়ে বাজেট পাঁচ লাখ খরচ করে না। তারা এক-দুই লাখ টাকার মধ্যে কাজ সারতে চায়। এজন্য আমার মনে জেদ এসেছে। বাজেট না বাড়ালে কাজ করবো না। ওই বাজেটে কাজ করলে কাজ ভালো হবে না।
তিনি বলেন, একটা ভালো মিউজিক ভিডিও করতে গেলে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা লাগে। সৈকত রেজা, সৈকত নাসির, তানিম রহমান অংশু, চন্দন রায় চৌধুরী-এর মতো নির্মাতা খুব ভা্লো মিউজিক ভিডিও বানান। এছাড়া ধ্রুব মিউজিকের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কারণ তারা সময় ধরতে জানে। গান ও শিল্পীকে প্রমোট করার চেষ্টা করে। সারাজীবন তো এখান থেকে পয়সা আসবে। এখন মিউজিক ভিডিও ছাড়া কোনো গান হচ্ছে না। আগে অডিও ছাড়া হতো। একটা ছবি দিয়ে গান ছেড়ে দেয়া হতো। কিন্তু তখন যদি ভিডিও করে ছাড়া যেত আরো লাভ হতো। এখন ভিডিও ছাড়া গান হচ্ছে না। গান পুরোপুরি চলে গেছে ইউটিউবে।
নাসির আরো বলেন, আগের মতো গান জনপ্রিয়তা পাচ্ছে না। কারণ, আগের সেইসব গীতিকার, সুরকারদের প্রমোট করা হচ্ছে না। মিউজিক কোম্পানিগুলো ওইসব গীতিকার, সুরকারদের ডাকে না। স্বস্তা কথা আর বস্তা পচার গান দিয়ে রাতারাতি হিট করে পয়সা কামানোর প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু ভালো গান করতে গেলে ভালো গীতিকার, সুরকার ডাকতে হবে, তাহলে গান ভালো হবে।
তিনি বলেন, অর্থের লোভ কমাতে হবে। কাজ ভালো হলে পয়সা এমনিতেই আসবে। বাংলাদেশে খারাপ মিউজিক হয় না। আমাদের মিউশিয়ানরা অনেক স্ট্যান্ডার্ড। আন্তর্জাতিকভাবে সমান্তরাল ভাবে তারা কাজ জানেন। মানুষের রুচির যে পরিবর্তন এসেছে সেটাকে প্রাধান্য দিতে হবে।
গানের অ্যালবাম, মিউজিক ভিডিও ছাড়াও নাসির সিনেমার গান গেয়েছিলেন, সেটা এক দশক আগে কথা। তিনি বলেন, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘টাকার নাম বাবা’, ‘ধ্বংস’ ছাড়াও ১৫-২০ টির মতো সিনেমায় গেয়েছি। তা প্রায় ১০ বছর আগে। প্রথম কথা হলো সিনেমার গানের জন্য এখন কেউ ডাকে না। দ্বিতীয়ত, পারিশ্রমিক কম। একযুগ আগে এক গান গেয়ে অডিও অ্যালবামের জন্য ৩০-৩৫ হাজার টাকা পেতাম। কিন্তু সিনেমায় গাইলে ৩ হাজার টাকা দিত। এজন্য দিনে দিনে আগ্রহ কমে যায়।